৩০ হাজার টাকার ভিতর ৫ টি সেরা স্মার্টফোন
৩০ হাজার টাকার ভিতর ৫ টি সেরা স্মার্টফোন
বর্তমান যুগে স্মার্টফোন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে। কাজ, বিনোদন, সামাজিক যোগাযোগ প্রায় সব ক্ষেত্রে ফোনের ব্যবহার বেড়েই চলেছে। তবে ফোন কেনার সময় বাজেট একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ৩০,০০০ টাকার মধ্যে একটি ভালো ফোন খুঁজে পাওয়া কিছুটা চ্যালেঞ্জিং, কারণ বাজারে অসংখ্য মডেল এবং ব্র্যান্ড আছে এবং অনেক সময় দামও বাড়তি হয়ে যায়।
সবদিক বিবেচনা করে আজকের আর্টিকেলে আমরা ৩০,০০০ টাকার মধ্যে সেরা ফোনের তালিকা তৈরি করেছি। এখানে ক্যামেরার গুণমান, পারফরম্যান্স, ব্যাটারি লাইফ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ফিচারগুলো তুলে ধরবো, যাতে আপনি সহজে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। এছাড়া যারা এই বাজেটের মধ্যে একটি পারফেক্ট স্মার্টফোন খুঁজে থাকেন তাদের জন্য পোস্টটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
১. Redmi Note 13 Pro 5G
ফোনের ফিচারসমূহ:
ডিসপ্লে: 6.67-ইঞ্চি FHD+ AMOLED
চিপসেট: Qualcomm Snapdragon 7S Gen 2
ভেরিয়েন্ট: (8/128GB) UFS 2.2
ক্যামেরা: 200MP + 8MP + 2MP ট্রিপল রেয়ার
ব্যাটারি: 5100mAh এবং ফাস্ট চার্জিং 67W
আজকের আর্টিকেলটি শুরু করতে যাচ্ছি Redmi Note 13 Pro 5G স্মার্টফোন দিয়ে। বাজেট ফ্রেন্ডলি এই ফোনে উন্নত মানের ফিচার ব্যবহার করা হয়েছে। ফোনটির সমচেয়ে চমৎকার ফিচার হলো ক্যামেরা। ফোনের রেয়ারে রয়েছে LED ফ্ল্যাশ সহ 200MP প্রাইমারি ক্যামেরা, যা দিনের আলোতে বা সাধারণ পরিস্থিতিতেও খুব ভালো মানের ছবি তোলে। পাশাপাশি এতে 10 x ডিজিটাল জুম সাপোর্ট করে, তাই জুম বা ক্রপ করলেও ছবির মান ঠিক থাকে।
সাথে থাকছে 8 MP আল্ট্রা ওয়াইড ক্যামেরা, এটি অনেক প্রশস্ত লেন্স, যা গ্রুপ ছবি অর্থাৎ বিশাল ল্যান্ডস্কেপ বা উঁচু বস্তুর ছবি তোলার জন্য দারুন। কারণ সবকিছু নির্ধারিত ফ্রেমে আনতে সক্ষম হয়। সঙ্গে যুক্ত আছে 2MP মাইক্রো ক্যামেরা, যা খুব কাছ থেকে ক্ষুদ্র বস্তুর ছবি তোলার জন্য সেরা, যেমন কোন ফুলের পাপড়ির ভেতরের অংশ এবং পোকামাকড়ের চোখ। এটি শুধু ম্যাক্রো ফটোগ্রাফির জন্যই ব্যবহার হয়, যা সাধারণ ক্যামেরা দিয়ে সম্ভব হয় না।

এছাড়া ফোনের সামনে রয়েছে 16 MP ফ্রন্ট ক্যামেরা, এই ক্যামেরার মেগাপিক্সেল কম হলেও ছবি অনেক বেশি স্পষ্ট হয়। পাশাপাশি তীক্ষ্ণ, প্রাণবন্ত সেলফি এবং হাই-ডেফিনিশন ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের জন্যেও দারুন।
এবার ফোনের ডিসপ্লে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। ফোনটিতে 6.67 ইঞ্চির FHD+ AMOLED ডিসপ্লে রয়েছে, যা উজ্জ্বল ও বেশি ডিটেলসের ছবি, ভিডিও দেখা বা মাল্টিটাস্কিংয়ের জন্য দারুণ। এই স্ক্রিনে 120 Hz রিফ্রেশ রেট সাপোর্ট করে, ফলে এটি স্ক্রলিং, গেমিং এবং ভিডিও দেখার অভিজ্ঞতা হয় আরো মসৃণ ও প্রাণবন্ত। এতে Gorilla Glass 5 সুরক্ষা থাকায় স্ক্রিনটি টেকসই এবং স্ক্র্যাচ প্রতিরোধী।
পারফরম্যান্সের জন্য ফোনটিতে শক্তিশালী Qualcomm Snapdragon 7S Gen 2 চিপসেট ব্যবহার করা হয়েছে, 4 ন্যানোমিটার ফেব্রিকশনে তৈরি এই চিপসের ক্লক স্পিড 2.4 GHz পর্যন্ত। পাশাপাশি ফোনে 8GB র্যাম+128GB স্টোরেজ যুক্ত আছে, ফলে ভারী কাজও সহজে সামলানো এবং গেমিং, মাল্টিটাস্কিং বা বড় ফাইল রাখা যাবে।
দীর্ঘ সময় ব্যবহারের জন্য এই স্মার্টফোনে রয়েছে 5100mAh ব্যাটারি এবং দ্রুত চার্জ করার জন্য ফোনটিতে থাকছে 67W ফাস্ট চার্জিং। এই ফোনে 0% থেকে 51% চার্জ হতে মাত্র 15 মিনিট সময় লাগে। এছাড়া ফোনটিতে IP54 রেটিং ব্যবহার করা হয়েছে, যা ধুলোবালি ও পানি প্রতিরোধ করতে সক্ষম।
২. Tecno Pova Slim
ফোনের ফিচারসমূহ:
ডিসপ্লে: 6.78-ইঞ্চি FHD+ AMOLED
ভ্যারিয়েন্ট: (8/256GB) UFS 2.2
চিপসেট: Mediatek Dimensity 6400
ক্যামেরা: 50MP + 2MP ডুয়েল রেয়ার
ব্যাটারি: 5160mAh এবং ফাস্ট চার্জিং 45W
বাজেট রেঞ্জের মধ্যে শক্তিশালী ফিচার যুক্ত ফোনের দুই নম্বরে অবস্থান করছে Tecno Pova Slim স্মার্টফোন। ফোনের সবচেয়ে চমৎকার দিক হলো ডিসপ্লে। ফোনটিতে 6.78 ইঞ্চির FHD+ AMOLED ডিসপ্লে রয়েছে, যা উজ্জ্বল ও বেশি ডিটেলসের ছবি, ভিডিও দেখা এবং মাল্টিটাস্কিংয়ের সময় মসৃণ অভিজ্ঞতার জন্য বেশ জনপ্রিয়।
এই স্ক্রিনে 144Hz রিফ্রেশ রেট সাপোর্ট করে, যা 60Hz বা 120Hz এর তুলনায় স্ক্রিনটি অনেক বেশি মসৃণ ও সাবলীল, বিশেষ করে দ্রুত গতির গেমে এই রিফ্রেশ রেট দারুণ প্রতিক্রিয়াশীলতা এবং পরিষ্কার ভিজ্যুয়াল অভিজ্ঞতা দেয়। পাশাপাশি স্ক্রিনটিতে 4500 নিট পিক ব্রাইটনেস রয়েছে, যা সরাসরি সূর্যের আলোতে বা খুব উজ্জ্বল পরিবেশেও পরিষ্কার স্ক্রিন দেখতে সাহায্য করে, বিশেষ করে HDR ভিডিও ও ছবি দেখানোর জন্য এটি বেশ দারুন।

ফোনটিতে Mediatek Dimensity 6400 প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। 6 ন্যানোমিটার ফেব্রিকশনে তৈরি এই চিপসের ক্লক স্পিড 2.5 GHz পর্যন্ত। এতে শক্তিশালী Cortex-A76 কোর ও 2.0GHz এর পাওয়ার-এফিশিয়েন্ট Cortex-A55 কোর ব্যবহার করা হয়েছে, যা দৈনন্দিন কাজ ও মাঝারি মানের গেমিংয়ে ভালো পারফর্ম করে। তবে এই চিপসে খুব শক্তিশালী GPU নেই, তাই ভারী বা ফ্ল্যাগশিপ গেমিংয়ের জন্য এটা যথেষ্ট নয়।
বাজেট বান্ধব এই ফোনে 5160mAh ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে এবং দ্রুত চার্জ করার জন্য ফোনটিতে 45W ফাস্ট চার্জিং ও 10W রিভার্স চার্জিং রয়েছে। এছাড়া Tecno Pova Slim ফোনে থাকছে IP64 রেটিং, যা ধুলোবালি ও পানির ছিটা প্রতিরোধ করতে সক্ষম।
ফটোগ্রাফির জন্য ফোনের রেয়ারে 50 MP প্রাইমারি ক্যামেরা দেওয়া হয়েছে। এর মূল সেন্সরটি উচ্চ রেজোলিউশনের ছবি তুলত পারে। সাথে রয়েছে একটি 2MP ডেপথ ক্যামেরা। এটি ছবির গভীরতা শনাক্ত করতে পারে এবং পোর্ট্রেট মোডে সুন্দর ব্যাকগ্রাউন্ড ব্লার বা বোকেহ ইফেক্ট তৈরি করতে সাহায্য করে। এই ক্যামেরাটি সাধারণত প্রাইমারি ক্যামেরার সাথে মিলেই কাজ করে, যাতে ছবি আরও আকর্ষণীয় দেখা যায়।
৩. Motorola Moto G86 Power
ফোনের ফিচারসমূহ:
ডিসপ্লে: 6.67-ইঞ্চি FHD+ P-OLED
ভ্যারিয়েন্ট:( 8GB+128GB)
চিপসেট: Mediatek Dimensity 7400
ক্যামেরা: 50MP + 8MP ডুয়েল রেয়ার
ব্যাটারি: 6720mAh এবং ফাস্ট চার্জিং 30W
Motorola Moto G86 Power বাজেট বান্ধব এই ফোনে শক্তিশালী ফিচার ব্যবহার করা হয়েছে। ফোনটিতে 6.67 ইঞ্চির FHD+ P-OLED ডিসপ্লে রয়েছে, যা ব্যবহারকারীকে দেয় উজ্জ্বল ও বিস্তারিত ছবি, ভিডিও দেখা এবং মাল্টিটাস্কিংয়ের সময় মসৃণ অভিজ্ঞতা।
এই স্ক্রিনে 120Hz রিফ্রেশ রেট সাপোর্ট করে, ফলে এটি গেমিং, ভিডিও দেখা বা স্ক্রোলিংয়ের সময় মোশন ব্লার কমায় এবং ইন্টারফেসকে আরও রেসপন্সিভ করে তোলে। ফোনটির স্ক্রিনে (1220x2712 পিক্সেল) রেজোলিউশন থাকাই ব্যবহারকারীকে খুবই স্পষ্ট, বিস্তারিত এবং প্রাণবন্ত ভিজ্যুয়াল অভিজ্ঞতা প্রদান করে। পাশাপাশি স্ক্রিনটিতে রয়েছে ৪৫০০ নিট পিক ব্রাইটনেস, যা সরাসরি সূর্যের আলো বা খুব উজ্জ্বল পরিবেশেও স্ক্রিন পরিষ্কার দেখতে সাহায্য করে। বিশেষ করে HDR ভিডিও ও ছবি দেখার ক্ষেত্রে এটি বেশ চমৎকার।

দ্রুত ও স্মুথ পারফরম্যান্সের জন্য ফোনটিতে Mediatek Dimensity 7400 প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। এটি একটি শক্তিশালী মিড-রেঞ্জ চিপসেট, যা 4 ন্যানোমিটার প্রযুক্তিতে তৈরি। দৈনন্দিন ব্যবহার, গেমিং ও মাল্টিটাস্কিং-এ চিপসেটটি আরও ভালো অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে। সাথে রয়েছে 8GB র্যাম, এটি একসাথে অনেক অ্যাপ খুলা ও মসৃণভাবে চলতে সাহায্য করে। আর 128GB স্টোরেজ ছবি, ভিডিও ও অ্যাপ সংরক্ষনের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা দেয়। ধুলোবালি ও পানি প্রতিরোধের জন্য ফোনটিতে IP68/IP69 রেটিং সাপোর্ট করে।
ফটোগ্রাফির জন্য ফোনের রেয়ারে ডুয়েল LED ফ্ল্যাশ সহ 50MP প্রাইমারি ক্যামেরা এবং 8MP আলট্রা ওয়াইড ব্যবহার করা হয়েছে। পাশাপাশি ফোনের সামনে থাকছে 32MP ফ্রন্ট ক্যামেরা, এটি উচ্চ রেজোলিউশনের ছবি ও ভিডিও সরবরাহ করে। ফোনটির সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হলো ব্যাটারি। ফোনটিতে 6720mAh ব্যাটারি দেওয়া হয়েছে। এটি একটি অত্যন্ত শক্তিশালী ব্যাটারি, যা সাধারণ ব্যবহারে দুই দিনেরও বেশি এবং মাঝারি ব্যবহারে প্রায় ২৩ ঘণ্টা পর্যন্ত ব্যাটারি ব্যাকআপ দিতে পারে। একইসঙ্গে দ্রুত চার্জ করার জন্য এই ফোনে রয়েছে 30W ফাস্ট চার্জিং। বাজেট অনুযায়ী ফোনটির পারফরম্যান্স সেরা বলে দাবি করা হচ্ছে।
৪. Realme C85 Pro
ফোনের ফিচারসমূহ
ডিসপ্লে: 6.8-ইঞ্চি FHD+ AMOLED
ভ্যারিয়েন্ট:( 8GB+256GB)
চিপসেট: Snapdragon 685
ক্যামেরা: 50MP সিঙ্গেল রেয়ার
ব্যাটারি: 7000mAh এবং ফাস্ট চার্জিং 45W
বাজেট রেঞ্জ স্মার্টফোনের চার নাম্বারে অবস্থান করছে Realme C85 Pro। ফোনটিতে রয়েছে 6.8 ইঞ্চির FHD+ AMOLED ডিসপ্লে, যা উজ্জ্বল ও বিস্তারিত ছবি এবং ভিডিও দেখার পাশাপাশি মাল্টিটাস্কিং ও সহজ হয়। এই স্ক্রিনে 120 Hz রিফ্রেশ রেট সমর্থন থাকার কারণে স্ক্রলিং, গেমিং এবং ভিডিও দেখার অভিজ্ঞতা আরও মসৃণ ও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। পাশাপাশি এতে 4000 nits পিক ব্রাইটনেস সাপোর্ট করে, ফলে সরাসরি সূর্যের আলো বা খুব উজ্জ্বল পরিবেশেও স্ক্রিন পরিষ্কার দেখা যাবে। বিশেষ করে HDR ভিডিও ও ছবি দেখার ক্ষেত্রে এটি বেশ দারুন পারফর্ম করবে।
ফোনটির সবচেয়ে বড় ফিচার হলো ব্যাটারি। এতে রয়েছে 7000 mAh ক্ষমতার শক্তিশালী ব্যাটারি, যা দীর্ঘস্থায়ী এবং বিশেষভাবে ভারী ব্যবহারকারীদের জন্য ডিজাইন করা। এই ফোনে একবার সম্পূর্ণ চার্জ করলে ১৯ ঘণ্টা অনলাইন ভিডিও দেখা যাবে, ১৬ ঘণ্টা চ্যাট করা যাবে। এছাড়া ৫৯ ঘণ্টা পর্যন্ত কলে কথা বলা যাবে। একইসঙ্গে দ্রুত চার্জ করার জন্য ফোনটিতে রয়েছে 45W ফাস্ট চার্জিং।

ফোনের রেয়ারে ৫০ মেগাপিক্সেল রেজোলিউশনের একটি (AI) ওয়াইড ক্যামেরা দেওয়া হয়েছে, যেখানে f/1.8 অ্যাপারচার এবং অটোফোকাস (AF) সুবিধা রয়েছে। এই ক্যামেরা দিনের ভালো পরিবেশে পরিষ্কার ও বিস্তারিত ছবি তুলে এবং রাতেও AI মোডসহ ভাল ছবি পাওয়া যায়। পাশাপাশি ভিডিও রেকর্ডিং হয় 1080p রেজোলিউশনে। ক্যামেরাটি বিভিন্ন দৃশ্যের জন্য বেশ কার্যকর। এছাড়া সেলফি ও ভিডিও কলের জন্য ফোনের সামনে থাকছে 8MP ফ্রন্ট ক্যামেরা।
Realme C85 Pro ফোনে একটি স্মার্ট AI ফিচার ULTRA AI PARTNER রয়েছে, যা ফোনকে আরও কৃত্রিমভাবে ব্যবহার করতে সাহায্য করে। এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা সামঞ্জস্য করে, কলের ভলিউম ও নেটওয়ার্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায় এবং ফোনের পারফরম্যান্স দ্রুত ও স্মুথ রাখে। এছাড়া, এটি ছবি এডিটিংসহ অন্যান্য কাজকে আরও সহজ করে তোলে, ফলে ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা অনেকটা স্বাধীন ও স্মার্ট হয়।
ফোনটিতে 8GB র্যাম ও 256GB স্টোরেজ রয়েছে, যা ফোনকে দ্রুত ও মসৃণ পারফরম্যান্স দেয়। একসাথে অনেক অ্যাপ চালানো এবং মাল্টি‑টাস্কিং করা সহজ হয়। বড় স্টোরেজ থাকার কারণে ব্যবহারকারীরা প্রচুর ছবি, ভিডিও, গান ও অ্যাপ সংরক্ষণ করতে পারেন। পাশাপাশি ফোনটিতে IP69 Pro রেটিং সাপোর্ট করে। এটি সম্পূর্ণ ধুলো প্রতিরোধি এবং উচ্চ চাপে গরম পানি স্প্রে-ও সহ্য করে। আবার ভারী বৃষ্টি, ধুলো বা কঠিন পরিবেশেও ফোনটি নিরাপদ থাকে।
ফোনটিতে Snapdragon 685 চিপসেট দেওয়া হয়েছে। এটি একটি মিড‑রেঞ্জের 4G মোবাইল প্রসেসর, যা সাধারণত ৮টি কোর নিয়ে কাজ করে, এর মধ্যে ৪টি Cortex‑A73 কোর ২.৮ GHz পর্যন্ত, এবং ৪টি Cortex‑A53 কোর ১.৯ GHz পর্যন্ত ক্লক‑স্পিডে চলে, ফলে দিনে‑দিনে অ্যাপ চালানো,মাল্টি‑টাস্কিং ও ওয়েব ব্রাউজিং বেশ সহজ হয়। এটি 6 ন্যানোমিটার প্রযুক্তিতে তৈরি হওয়ায় পূর্বের জেনারেশনের চিপগুলোর তুলনায় শক্তি দক্ষতা ও পারফরম্যান্স আরও উন্নত।
সব মিলিয়ে বলা যায়, Snapdragon 685 এমন একটি চিপ যা দৈনন্দিন কাজ, ভিডিও দেখা, সোশ্যাল মিডিয়া ও হালকা‑মধ্যম গেমিং‑এর জন্য উপযুক্ত। কিন্তু হাই‑এন্ড গেম বা ভারী এপ্লিকেশন‑এর জন্য উচ্চ‑স্তরের পারফরম্যান্স দেয় না। তবে বাজেট অনুযায়ী ফোনটির পারফরম্যান্স সেরা বলে বিবেচনা করা হয়েছে।
৫. Xiaomi Redmi Turbo 4
ফোনের ফিচারসমূহ
ডিসপ্লে: 6.67-ইঞ্চি FHD+ AMOLED
ভ্যারিয়েন্ট:( 12GB+256GB)
চিপসেট: Mediatek Dimensity 8400 Ultra
ক্যামেরা: 50MP + 8MP ডুয়েল রেয়ার
ব্যাটারি: 6550mAh এবং ফাস্ট চার্জিং 90W
মিড বাজেটের মধ্যে শক্তিশালী পারফরম্যান্সের ফোনগুলোর মধ্যে Xiaomi Redmi Turbo 4 সর্বশেষ পাঁচ নম্বরে অবস্থান করেছে। ফোনটিতে বড় 6550mAh ব্যাটারি দেওয়া হয়েছে, যা একবার চার্জ করলে দীর্ঘ সময় ব্যবহারের সুবিধা দেয় এবং দ্রুত চার্জ সুবিধার জন্য ফোনটিতে রয়েছে 45W ফাস্ট চার্জিং।

ফোনটিতে 6.67 ইঞ্চির FHD+ AMOLED ডিসপ্লে দেওয়া হয়েছে, যা উজ্জ্বল ও বিস্তারিত ছবি এবং ভিডিও প্রদর্শন করতে সক্ষম। এর সাহায্যে মাল্টিটাস্কিং করার সময়ও ব্যবহারকারীকে দেয় মসৃণ অভিজ্ঞতা। এই স্ক্রিনে 120 Hz রিফ্রেশ রেট থাকার কারণে স্ক্রলিং, গেমিং এবং ভিডিও দেখার অভিজ্ঞতা আরও মসৃণ ও প্রাণবন্ত হয়। পাশাপাশি এটি 3200 nits পিক ব্রাইটনেস সাপোর্ট করে, ফলে সরাসরি সূর্যের আলো বা উজ্জ্বল পরিবেশেও স্ক্রিন পরিষ্কার দেখা যায়। বিশেষ করে HDR ভিডিও ও ছবি দেখার ক্ষেত্রে এটি অসাধারণ অভিজ্ঞতা প্রদান করে।
দ্রুত ও মসৃণ কাজের জন্য ফোনটিতে Mediatek Dimensity 8400 Ultra প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে, যা 4 ন্যানোমিটার প্রযুক্তিতে তৈরি। এটি দৈনন্দিন কাজ, গেমিং এবং মাল্টিটাস্কিংকে আরও ভালো ও স্মুথ করে। সাথে রয়েছে 8GB র্যাম, যা একসাথে অনেক অ্যাপ চালাতে সাহায্য করে, আর 256GB স্টোরেজ ছবি, ভিডিও ও অ্যাপ রাখার জন্য যথেষ্ট জায়গা দেয়। পাশাপাশি ফোনটি IP68 রেটিং সাপোর্ট করে, এটি ধুলোবালি ও পানির ছিটা প্রতিরোধ করতে সক্ষম।
ফটোগ্রাফির জন্য ফোনের রেয়ারে ডুয়েল LED ফ্ল্যাশসহ 50MP প্রাইমারি ক্যামেরা এবং 8MP আলট্রা ওয়াইড ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছে। পাশাপাশি সেলফি ও ভিডিও কলের জন্য ফোনের সামনে রয়েছে 32MP ফ্রন্ট ক্যামেরা।
সব মিলিয়ে বলা যায়, বর্তমান সময়ে মিড বাজেটের স্মার্টফোনে উন্নত প্রসেসর, শক্তিশালী ডিসপ্লে এবং বড় ব্যাটারি ব্যবহার করেছে। তাই আপনি যদি এই রেঞ্জের মধ্যে স্মার্টফোন খুজে থাকেন তাহলে উপরের তালিকাই থাকা ৫ টি ফোনের মধ্যে আপনার পছন্দের ফোনটি নিতে পারেন। কারণ উপরের ফোনগুলো মিড বাজেটের মধ্যে উচ্চ পারফরম্যান্স প্রদান করে।
Related Reviews
View More
Realme C85 4G রিভিউ: বাজেট রেঞ্জের মধ্যে সেরা স্মার্টফোন
দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে বাংলাদেশের বাজারে চলে এলো নতুন আরেকটি বাজেট রেঞ্জের মধ্যে সেরা স্মার্টফোন R...
Honor 500 রিভিউ: মিড-রেঞ্জ বাজেটের সেরা স্মার্টফোন
চীনা কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স কোম্পানি Honor ব্রান্ড এখন মিড-রেঞ্জ বাজারে আরো এগিয়ে যাচ্ছে। আগের ফোনগুল...
২০ হাজার টাকার মধ্যে সেরা ৫ স্মার্টফোন, যেগুলো বাজেট বান্ধব হলেও উন্নত পারফরম্যান্স প্রদান করবে
স্মার্টফোন বাজারে ২০,০০০ টাকার নিচের বাজেটের মধ্যে ভালো মানের ডিভাইস পাওয়া খুবই সহজ হয়েছে। বিশেষ কর...