বিল গেটসের মাইক্রোসফট ঘোষণা করেছে, ২০১৫ সালের জুলাইয়ে চালু হওয়া উইন্ডোজ ১০- এ গত ১৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ থেকে আর কোনো নিরাপত্তা আপডেট, বাগ ফিক্স কিংবা কাস্টমার সাপোর্ট দেবে না প্রতিষ্ঠানটি। এর ফলে কম্পিউটার এবং ল্যাপটপ চালু থাকবে ঠিকই, কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের পর ভাইরাস, ম্যালওয়্যার ও হ্যাকারদের আক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে।
মাইক্রোসফট আরো বলেছে, ব্যবহারকারীদের বিনামূল্যে ‘উইন্ডোজ ১১’-এ আপগ্রেড করতে। যারা কম্পিউটারে উইন্ডোজ ১০ চালিয়ে রাখবে সহজেই তাদের কম্পিউটারগুলো সাইবার হ্যাকারদের টার্গেটে পরিণত হতে পারে।
আরও পড়ুন: M5 চিপসহ নতুন ম্যাকবুক আনছে অ্যাপল
যুক্তরাজ্যের ভোক্তা সংস্থা হুইচ জানিয়েছে, শুধু ব্রিটেনে প্রায় ৫০ লাখ ব্যবহারকারী এখনো উইন্ডোজ ১০–এ থেকে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে। টেক ম্যাগাজিনের সম্পাদক লিসা বারবার বলেন, হ্যাকাররা সফটওয়্যারের দুর্বলতা খুঁজে বের করবে, এরপর তারা সেগুলো ব্যবহার করে কম্পিউটারের ডেটা চুরি বা প্রতারণা করতে পারে।
ব্যবহারকারীদের করনীয় কি
হ্যাকারদের আক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে ব্যবহারকারীদের এখন উইন্ডোজ ১০–এ থেকে উইন্ডোজ ১১–এ আপগ্রেড করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার কম্পিউটার যদি চার বছরের কম পুরোনো হয় তাহলে উইন্ডোজ ১১ আপগ্রেড করতে পারবেন। তবে এর জন্য অন্তত ৪ জিবি র্যাম + ৬৪ জিবি স্টোরেজ এবং TPM 2.0 চিপ থাকতে হবে আপনার কম্পিউটারে।
যাদের কম্পিউটার উইন্ডোজ ১১-এর জন্য প্রস্তুত নয়, তারা চাইলে মাইক্রোসফটের Extended Security Updates (ESU) প্রোগ্রামের মাধ্যমে বেশ কিছুদিন নিরাপত্তা আপডেট পেতে পারেন। এর জন্য দুই মাস পর একবার করে মাইক্রোসফট অ্যাকাউন্টে লগইন করতে হবে।
সোর্স : বিল গেটসের মাইক্রোসফট