স্মার্টফোনের এই যুগে চার্জার আমাদের দৈনন্দিন জীবনের এমন এক প্রয়োজনীয় উপকরণ, যা ছাড়া ফোন ব্যবহার করাই অসম্ভব হয়ে যায়। কিন্তু বর্তমান সময় বাজারে নকল চার্জার এতটাই বেড়েছে যে, বাইরে থেকে দেখলেও আসল ও নকল চেনা অনেক সময় কঠিন হয়ে পড়ে।
কিন্তু এই নকল চার্জারই আপনার ফোন, বাড়ি এবং ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য বড় ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। যেমন আগুন লাগা, ফোনের ব্যাটারি নষ্ট হওয়া এবং শর্ট সার্কিটের মতো বিপদের সম্মুখীনে ফেলতে পারে।
তাই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নকল চার্জার ব্যবহার করলে শুধু ডিভাইসই নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকে না, ব্যক্তিগত নিরাপত্তার ঝুঁকিও অনেক বেড়ে যায়। এজন্য কোন চার্জার আসল আর কোন চার্জার নকল তা চিহ্নিত করার জ্ঞান এখন অত্যন্ত জরুরি।
আসল ও নকল চার্জার চেনার উপায়
আসল চার্জারের বক্সে রিষ্কার ও নিখুঁত প্রিন্ট থাকে এবং কোনো বানান ভুলও থাকবে না। যদি বক্স খুব পাতলা, নিম্নমানের বা ঝাপসা প্রিন্ট হয় তাহলে সতর্ক হওয়া উচিত
যদি চার্জারের দাম অস্বাভাবিকভাবে কম হয়, তাহলে সতর্ক হবেন। সাধারণত সস্তা চার্জারগুলোর মান কম এবং ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
চার্জারের লোগোটি যদি বাঁকা, ঘোলা বা অস্বাভাবিক দেখায় তাহলে এটি নকল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আসল চার্জারে সাধারণত সঠিক সিরিয়াল নম্বর বা QR কোড থাকে, যা স্ক্যান করলে তথ্য পাওয়া যায়।
আসল চার্জারের আউটপুট রেটিং স্পষ্টভাবে সঠিক ফন্টে লেখা থাকে। নকল চার্জারে ফন্ট অসম হয় এবং রেটিং ভুল বা অদ্ভুতভাবে উল্লেখ করা থাকে।
আসল চার্জার তুলনামূলকভাবে ভারী হয়, আর নকল চার্জার সাধারণত অনেক হালকা লাগে।
যদি চার্জার দ্রুত গরম হয় বা ফোন ধীরে চার্জ হয়, তবে এটি নকল চার্জারের লক্ষণ হতে পারে।
নকল চার্জার ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। কারণ নকল চার্জার পুরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, যদি চার্জার থেকে পোড়ার গন্ধ আসে, প্লাগ ঠিকমতো বসে না বা ঢিলা লাগে। আবার কখনও চার্জার গলে যাওয়া বা স্পার্ক হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এছাড়াও, বারবার অতিরিক্ত গরম হতে পারে। এই ধরনের লক্ষণ দেখা গেলে সঙ্গে সঙ্গে চার্জার ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।
ইতিমধ্যে যে ঝুঁকি পূর্ণর কথা বলা হয়েছে তা থেকে রক্ষা পেতে হলে ফোনের সাথে থাকা চার্জার ব্যবহার করবেন। আসল চার্জার যদি নষ্ট হয়ে যায় তাহলে অনুমোদিত দোকান বা অফিসিয়াল অনলাইন স্টোর থেকে চার্জার কিনবেন।