আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে ন্যাশনাল ইক্যুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) সিস্টেমকার্যকর হচ্ছে। এর মধ্যেই মজুত ও পাইপলাইনে থাকা আনঅফিসিয়াল মোবাইল ফোন বিক্রির জন্য নতুন সিদ্ধান্ত ঘোষণা হয়েছে।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, বিক্রেতাদের মার্চ মাস পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, মার্চ মাস পর্যন্ত কেনা আনঅফিসিয়াল ফোন স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হবে এবং এগুলো বন্ধ হবে না। তবে, মার্চের পর থেকে আনঅফিসিয়াল ফোন বিক্রির কোনো সুযোগ থাকবে না। এই প্রেক্ষাপটে আবারো মোবাইল ব্যবসায়ীরা আন্দোলনে নেমে ৩ মাসের বিপরীতে ৬ মাস সময় দাবি করেন।
মোবাইল ফোন আমদানিতে শুল্ক পুনঃনির্ধারণ নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে আলোচনা চলমান রয়েছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এ বিষয়ে মধ্যস্থতা করবে। আমদানিকারক ও উৎপাদনকারীরা একসঙ্গে বসে সরকারকে লিখিতভাবে জানাবে, এমনটাই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
মোবাইল ফোন বিক্রেতাদের আন্দোলন সম্পর্কে তিনি জানান, সবার সঙ্গে আলোচনা শেষে আন্দোলন প্রত্যাহারের বিষয়ে ঘোষণা দেওয়া হবে।
গত বুধবার ১০ ডিসেম্বর সচিবালয়ে ফোন তৈরির কর্তৃপক্ষ, বিটিআরসি ও মোবাইল ব্যবসায়ীদের মধ্যে হওয়া বৈঠক শেষে মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশের সভাপতি মো. আসলাম এই বিষয়টি জানান। তিনি আরো জানিয়েছিলেন বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সরকার এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবে।
কিন্তু তারই মধ্যে সন্ধ্যা ৬টায় এনইআইআর সিস্টেম সংস্কারের দাবিতে কারওয়ান বাজারে ব্যবসায়ীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেছিলো এবং দীর্ঘক্ষণ আন্দোলনের পর মোবাইল ব্যবসায়ীদের নেতাদের ও পুলিশের সহযোগিতায় আন্দোলনকারীরা সড়ক ছেড়েছিলেন। এ সময় ব্যবসায়ী নেতারা দোকান খোলা রাখার ঘোষণা দেন। তবে সাধারণ ব্যবসায়ীরা দোকান না খোলার কথা জানান।
পরে রাতে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহম্মদ জসীম উদ্দিন স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে একই তথ্য জানান। যেখানে বলা হয়েছিলো মোবাইল বিজনেস কমিউনিটির সঙ্গে তিনদিন ধরে চলা আলোচনার পর ব্যবসায়ীদের দাবির প্রেক্ষিতে, বর্তমানে দেশে থাকা অনিবন্ধিত মোবাইল ফোনগুলো ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ এর পরিবর্তে ১৫ মার্চ ২০২৬ পর্যন্ত নিবন্ধন করার সুযোগ পাবেন।
সোর্স: সময় টিভি