বাংলাদেশের বাজারে আগামী ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে, ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) ব্যবস্থা চালু হতে যাচ্ছে। একইসঙ্গে সরকার বৈধভাবে স্মার্টফোন আমদানির শুল্ক কমানো এবং প্রবাসীদের জন্য ফোন আনার বিশেষ সুবিধা ঘোষণা করেছে।
গত মঙ্গলবার ২ ডিসেম্বর টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব প্রথম আলোকে বলেছে, এনইআইআরের এই উদ্দেশ্যে স্মার্টফোন খাত সংক্রান্ত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বিটিআরসির যৌথ বৈঠক।
যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে
প্রবাসীরা বাংলাদেশে ছুটি কাটানোর সময় মোট ৬০ দিন পর্যন্ত নিবন্ধন ছাড়াই স্মার্টফোন ব্যবহার করতে পারবে। তবে ৬০ দিনের বেশি থাকলে ফোনটি অবশ্যই নিবন্ধন করতে হবে।
আর যাঁদের বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন কার্ড রয়েছে, তারা চাইলে দেশে ফেরার সময় মোট তিনটি স্মার্টফোন বিনা শুল্কে আনতে পারবেন। অর্থাৎ নিজের ব্যবহার করা স্মার্টফোনের পাশাপাশি আরো দুইটি ফোন আনা যাবে। এই ক্ষেত্রে ফোনটি বৈধভাবে কেনার কাগজপত্র সঙ্গে থাকতে হবে।
বর্তমানে বৈধ পথে স্মার্টফোন আমদানির শুল্ক প্রায় ৬১ শতাংশ রয়েছে। সরকার এটি উল্লেখযোগ্য হারে কমানোর কাজ শুরু করেছে। শুল্ক কমিয়ে তা অর্ধেকের কাছাকাছি আনা হবে, ফলে বৈধভাবে আমদানি করা ফোনের দামও কমে আসবে।
যদি স্মার্টফোন গুলোর আমদানি শুল্ক কমানো হয়, তাহলে বাংলাদেশের ১৩ থেকে ১৪টি কারখানায় তৈরি করা ফোনের শুল্ক ও ভ্যাট কমাতে হবে, তা না হলে প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিদেশি বিনিয়োগ চরম ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এজন্য আমদানি ও অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের শুল্ক সমন্বয় নিয়ে বিটিআরসি ও এনবিআর যৌথভাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠকে বসেছে এবং দ্রুততার সঙ্গে কাজ শুরু করেছে।
আগামী ১৬ ডিসেম্বরের আগে বাজারে অবৈধভাবে আমদানি করা ফোনগুলোর মধ্যে যেগুলোর বৈধ আইএমইআই নম্বর রয়েছে, ইতিমধ্যে সেগুলোর তালিকা বিটিআরসিতে জমা দিয়ে হ্রাসকৃত শুল্কে ফোনগুলো বৈধ করার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে সুবিধা ক্লোন ফোন এবং রিফারবিশড ফোনের ক্ষেত্রে দেওয়া হবে না।
বর্তমানে ব্যবহৃত স্মার্টফোনগুলো ১৬ ডিসেম্বরের পরও বন্ধ করা হবে না। তাই এ সংক্রান্ত গুজবের প্রতি সতর্ক থাকা এবং আইএমইআই নম্বর ছাড়া ফোন কেনার মতো ভুল থেকে বিরত থাকা প্রয়োজন।
সোর্স: বিটিআরসি