আইএলটিএস পরীক্ষার পদ্ধতিতে শিগগিরই বড় পরিবর্তন আসছে। ইংরেজি ভাষার দক্ষতা যাচাইয়ের জন্য বিশ্বজুড়ে পরিচিত এই পরীক্ষার পেপার-বেজড পরীক্ষা ২০২৬ সালের ৩১ জানুয়ারির পর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে। এই পরিবর্তনের মূল লক্ষ্য হলো পরীক্ষার্থীদের জন্য মূল্যায়ন প্রক্রিয়াকে আরও কার্যকর, আধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা। বিশ্বব্যাপী উচ্চশিক্ষা, অভিবাসন এবং পেশাগত ক্ষেত্রে আইএলটিএসের চাহিদা বাড়ায় পরীক্ষাব্যবস্থাকে সময়োপযোগী করার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
২০২৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে পেপার বেজড (কাগজভিত্তিক) আইএলটিএস পরীক্ষা আর অনুষ্ঠিত হবে না বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ কাউন্সিল (বাংলাদেশ)। এই তারিখের পর থেকে শুধু কম্পিউটার ডেলিভারড টেস্ট বা কম্পিউটারভিত্তিক ফরম্যাটে পরীক্ষা নেওয়া হবে। যেসব পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির পর নির্ধারিত ছিল, তারা এই পরিবর্তনের কারণে অতিরিক্ত কোনো ফি ছাড়াই পরীক্ষা পেপারভিত্তিক ফরম্যাট থেকে কম্পিউটারভিত্তিক ফরম্যাটে রূপান্তর করতে পারবে।
ব্রিটিশ কাউন্সিল (বাংলাদেশ)–এর ওয়েবসাইটের একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৬ সাল থেকে আইএলটিএস পরিক্ষা কম্পিউটার ভিত্তিক ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত হবে। এই পরিবর্তনের ফলে পরীক্ষার ফরম্যাট, প্রশ্ন এবং স্কেরিং পদ্ধতি আগের কাগজভিত্তিক পরীক্ষার মতোই থাকবে। তবে পরীক্ষার্থীরা দ্রুততর এবং আরও সুশৃঙ্খল পরীক্ষার অভিজ্ঞতা পাবে।
কম্পিউটারে আইএলটিএস কী এবং কীভাবে হয় পরীক্ষা
অনেক পরীক্ষার্থীর মনে প্রশ্ন থাকতে পারে, যে কম্পিউটারে আইএলটিএস আসলে কী? এতে পরীক্ষা কীভাবে হয় এবং কাগজভিত্তিক পরীক্ষার সঙ্গে এর পার্থক্য কী? কম্পিউটারের আইএলটিএস পরীক্ষা মূলত কাগজভিত্তিক পরীক্ষার মতোই। প্রশ্নপত্র, মূল্যায়ন পদ্ধতি এবং ফলাফল প্রকাশের নিয়ম সবই আগের মতোই থাকবে। পার্থক্য শুধু এটুকু, যে এখন পরীক্ষার্থীরা কাগজে লিখার বদলে কম্পিউটারে টাইপ করে উত্তর দেবে।
এই পদ্ধতিতে পরীক্ষার্থীরা আরও বেশি তারিখ ও সেশন থেকে পরীক্ষার সময় বেছে নিতে পারবে। পাশাপাশি ফলাফলও তুলনামূলক দ্রুত পাওয়া যাবে—সাধারণত ১ থেকে ৫ দিনের মধ্যে।
প্রযুক্তির অগ্রগতি এবং শিক্ষার্থীদের চাহিদার সঙ্গে মিল রেখে আইএলটিএস পরীক্ষাকে নিয়মিত আপডেট করা জরুরি বলে মনে করেন পরীক্ষা সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, নতুন পদ্ধতিতে পরীক্ষার্থীদের বাস্তব ভাষা দক্ষতা আরও সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা সম্ভব হবে।