এনভিডিয়া চল্লিশ বিলিয়ন ডলারে এআরএম অধিগ্রহণ করবে

Monday, September 14 2020
এনভিডিয়ার এআরএম অধিগ্রহন
axios.com


যুক্তরাজ্যভিত্তিক কম্পিউটার এবং মোবাইল চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এআরএম(ARM) হোল্ডিংসকে কিনে নিচ্ছে আমেরিকান গ্রাফিক্স চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়া। সম্প্রতি বার্তা সংস্থা রয়টার্সে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, এআরএম হোল্ডিংস এর পুরো ব্যাবসা-স্বত্ব এবং সকল সম্পত্তি চার হাজার কোটি মার্কিন ডলার মূল্যে এনভিডিয়া কর্পোরেশনের নিকট বিক্রয়ে সম্মতি প্রদান করেছে এআরএমের স্বত্তাধিকারী প্রতিষ্ঠান সফটব্যাংক গ্রুপ।

বিশ্বের প্রথম সারির চিপ নির্মাতাদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় এই প্রতিষ্ঠান অধিগ্রহনের মাধ্যমে গ্রাফিক্স চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়া বিশ্বব্যাপী চিপ সরবরাহের ব্যাবসায় অনেকটাই এগিয়ে গেলো। আগামী সপ্তাহের শুরুর দিকে এআরএম অধিগ্রহণ সংক্রান্ত একটি চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছে রয়টার্স। এনভিডিয়া বলছে, চুক্তি সম্পন্নের পর যুক্তরাজ্যভিত্তিক ব্যবসা টিকিয়ে রাখবে প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়াও কর্মী নিয়োগ এবং ব্যাবসার প্রসারে এআরএম নামেই চিপ নির্মাতা ব্র্যান্ডটিকে টিকিয়ে রাখা হবে বলেও গ্রাহকদের আশ্বস্ত করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এদিকে অন্তত আগামী বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে এআরএম-এর সদর দপ্তরে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চাকরিও বলবৎ থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সফটব্যাংক।

বর্তমানে অধিকাংশ স্মার্টফোনেই ব্যবহৃত হচ্ছে এই এআরএম প্রযুক্তির চিপ। ছোট আকারের কম্পিউটারসহ ল্যাপটপ এবং আধুনিক কম্পিউটারেও এ ধরনের চিপের রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। টেক জায়ান্ট অ্যাপল সম্প্রতি তাদের আসন্ন ম্যাকবুক, আইপ্যাড এবং আইফোনে এই প্রযুক্তির এআরএম চিপ ব্যাবহারের ঘোষনা দেয়। জাপানি প্রতিষ্ঠান সফটব্যাংক চার বছর পূর্বে প্রায় তিন হাজার দুইশ কোটি মার্কিন ডলারে এআরএম কর্পোরেশন নামে আধুনিক চিপ নির্মাতা এই প্রতিষ্ঠানটি কিনে নেয়। আর এবার চার হাজার কোটি মার্কিন ডলারে (৩১.২ বিলিয়ন পাউন্ড) কিনে নিতে যাচ্ছে এনভিডিয়া। অধিগ্রহনের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগের জন্য প্রিমিয়ার কম্পিউটিং কোম্পানি হিসেবে প্রস্তুত করা হবে এআরএম-কে। এনভিডিয়ার প্রধান নির্বাহী জেনসেন হুয়াং জানিয়েছেন, এআরএম এর সদর দপ্তর যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজেই থাকবে। প্রতিষ্ঠানটিকে আরো সম্প্রসারিত করে একটি বিশ্বমানের এআই গবেষণা কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। স্বাস্থ্যসেবা, জীবন বিজ্ঞান, রোবটিক্স, সেলফ ড্রাইভিং গাড়ি এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে উন্নয়নে মনোযোগী হবে এআরএম।
share on