এবারে মার্কিন কোম্পানিগুলোকে পাল্টা হুমকি দিলো চীন

সোমবার, জুন 10 2019
এবারে মার্কিন কোম্পানিগুলোকে পাল্টা হুমকি দিলো চীন


নিউইয়র্ক টাইমস এর একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, হুয়াওয়ের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে সহোযোগিতাকারী প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোকে "মারাত্মক পরিনতির" ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছে চাইনিজ সরকার। একইসাথে তাদেরকে "অনাস্থাভাজন সংস্থা" হিসেবে ব্ল্যাকলিস্টেড করার হুমকিও প্রদান করেছে চীন।

টাইমস জানায়, এই সপ্তাহের শুরুর দিকে চীনের জাতীয় উন্নয়ন ও সংস্কার কমিশন, বানিজ্য মন্ত্রণালয় এবং শিল্প ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সদস্যদের দ্বারা অনুষ্ঠিত টানা কয়েকটি সভায় চীনে প্রথম সারির রপ্তানিকারক কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থার ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে এই সতর্কবার্তাগুলি দেয়া হয়। উক্ত সভায় বিশ্বের বেশ কিছু প্রথম সারির সেমিকন্ডাক্টর সংস্থা ও জায়ান্ট টেক সংস্থা অন্তর্ভুক্ত ছিলো। কর্মকর্তারা মার্কিন সংস্থাগুলিকে তাদের প্রোডাকশন লাইন অন্য দেশে স্থানান্তরিত করার ব্যাপারে সতর্ক করে দেয়, যেন তারা ট্রাম্প প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে কথা বলে। অন্যথায় তাদেরকে চীনের সাথে বানিজ্যে পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হতে পারে। অ-মার্কিন সংস্থাগুলিকে এই হুমকির আওতা মুক্ত হিসেবেই বলা হয়েছে।

অবশ্য নিউইয়র্ক টাইমস বলেছে যে, মার্কিন সংস্থাগুলি আইন ভঙ্গকারী কোনো বিষয়ে নিজেদেরকে জড়াবেনা।
উল্লেখ্য, গত মে মাসে হোয়াইট হাউস থেকে একটি নির্বাহী আদেশ জারি করা হয়, যেখানে মার্কিন সরকার তাদের সংস্থাগুলিকে জাতীয় নিরাপত্তার ওপর হুমকিসংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো থেকে সরঞ্জাম কিনতে এবং সাপ্লাই বিক্রি করা হতে বিরত থাকতে বলা হয়। এই আদেশটি দৃশ্যতঃ হুয়াওয়েকে লক্ষ্য করেই জারি করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হুয়াওয়ে তাদের টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো আপগ্রেড করার পাশাপাশি সহযোগী দেশগুলোর সরঞ্জাম ব্যাবহারের ওপর চাপ প্রয়োগ করে আসছিলো, যা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ।
এর প্রেক্ষিতে হুয়াওয়ের কাছে সাপ্লাই বিক্রি বন্ধ করার জন্য গুগল, মাইক্রোসফট, এআরএম এবং অন্যান্য মার্কিন সংস্থাগুলোকে বিশেষভাবে নির্দেশ দেয়া হয়।

এই পদক্ষেপটি বর্তমানে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে ক্রমবর্ধমান চাপ হিসেবে কাজ করছে। যার প্রেক্ষিতে চলমান বানিজ্য যুদ্ধের অংশ হিসেবে দুই দেশ একে অপরের বিরুদ্ধে বানিজ্যিক শুল্ক আরোপ করেছে। এর ফলে জাপানের জি-২০ সামিটে এই মাসের শেষের দিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনা প্রেসিডেন্ট জী জিংপিংয়ের সাথে সাক্ষাতের কথা থাকলেও তা বাতিল হয়ে যায়।
share on