৫জি এখন হাতের মুঠোয়!

শুক্রবার, মে 31 2019
৫জি স্পিড টেস্ট
the verge


যুক্তরাজ্যে আজই সর্বপ্রথম ৫জি নেটওয়ার্ক চালু হয়েছে। নেটওয়ার্ক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ইই আজ লন্ডন, এডিনবার্গ, কার্ডিফ, বেলফাস্ট, বার্মিংহাম ও ম্যানচেস্টারের কিছু অংশে সীমিত পরিসরে ৫জি নেটওয়ার্ক চালু করে। গত মাসে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিদ্বন্দ্বী ভোডাফোন যুক্তরাজ্যে তাদের নিজস্ব ৫জি নেটওয়ার্ক চালু করবে বলে ঘোষণা দিয়েছিল। আর ইই ভোডাফোনকে পিছনে ফেলে আজই যুক্তরাজ্যের কয়েকটি অঞ্চলে সীমিত পরিসরে ৫জি নেটওয়ার্ক চালু করে।

কোম্পানিটি লন্ডনে মূলত কিছু বিখ্যাত পর্যটক কেন্দ্রকে লক্ষ্য করে তাদের ৫জি নেটওয়ার্ক চালু করেছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোঃ সেন্ট পলস, কোভেন্ট গার্ডেন, সোহো, দ্যা স্ট্র্যান্ড , টাওয়ার ব্রিজ ও লন্ডন সেতু।
যদিও ৫জি নেটওয়ার্ক এখনও সম্পূর্ণরুপে ব্যবহার করা যাচ্ছে না। তারপরও ৫জি নেটওয়ার্কের গড় স্পিড ৪ জি নেটওয়ার্ক থেকে প্রায় ১০ গুন বেশি হবে বলে ঘোষনা করা হয়েছে। আগে যেসব এলাকাতে ৪ জি নেটওয়ার্ক ব্যাবহার করে ২৫ মেগাবাইট/সেকেন্ড গতি পাওয়া যেতো এখন ঠিক সেই এলাকাগুলোতেই ৫ জি নেটয়ার্ক দিয়ে গতি পাওয়া গিয়েছে ২০০ মেগাবাইট/প্রতিসেকেন্ড। উক্ত এলাকা গুলোতে ব্যবহারকারীরা খুব সাবলীল ভাবেই ৫ জি নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে পারবেন। ৫ জি নেটওয়ার্ক ব্যবহার করার জন্য ব্যবহারকারীদের কোনো নির্দিষ্ট স্থানে গিয়ে দাড়াতে হবে না, হাঁটতে হাঁটতেও এই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে পারবেন। উক্ত এলাকাগুলোর মধ্যে কোভেন্ট গার্ডেনের পাশে সবচেয়ে বেশী ইন্টারনেটের গতি পাওয়া গিয়েছে আর তা হলো ৫১০ মেগাবাইট/সেকেন্ড।

বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার পর লন্ডনে ৫ জি নেটওয়ার্কের গতির গড় প্রায় ২০০ মেগাবাইট/সেকেন্ড পাওয়া গিয়েছে। খোলা যায়গায় যতক্ষন পরীক্ষা চালানো হয়েছে ততক্ষন ইন্টারনেটের গতি খুব ভালোই পাওয়া যাচ্ছিল কিন্তু ঘরের ভিতরে কিংবা কোনো রেস্টুরেন্টের ভিতরে, ট্রেন স্টেশনের ভিতরে ইন্টারনেটের গতি কিছুটা কম লক্ষ করা গেছে ।

বর্তমানে ৫জি বাস্তবায়নের সবচেয়ে খারাপ দিক হলো এর আপলোডের গতি এখনও ৪ জির সমান। পরীক্ষা করে আপলোডের গতি পাওয়া গিয়েছে মাত্র ৩৩ মেগাবাইট/সেকেন্ড। যেখানে ডাউনলোডের গতি সেকেন্ডে ২০০ মেগাবাইট সেখানে আপলোডের গতি সেকেন্ডে মাত্র ৩৩ মেগাবাইট। তথ্যটি নতুন প্রযুক্তির এই ৫জি নেটওয়ার্কের সাথে একটু বেশিই বেমানান নয় কি! ইই প্রতিমাসে তাদের নেটওয়ার্কে ১০০টি সেল সাইট যুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং সেগুলোতে তারা খুব দ্রুতই ডাইনলোডের গতি ৪জি এর তুলনায় ১০০ থেকে ১৫০ মেগাবাইট বৃদ্ধির ঘোষণাও দিয়েছে। যদিও আপলোডের গতি সম্পর্কে কোম্পানিটি কিছুই জানায়নি এখনো। এছাড়াও ৫জি এর আরেকটি খারাপ দিক হলো, এটি খুব দ্রুত মোবাইলের ব্যাটারি খরচ করে। শুধু ওকলা স্পিড টেস্ট আর ফাস্ট টেস্টের অ্যাপ ব্যবহার করার ফলেই মোবাইলের চার্জ কয়েক ঘন্টায় ৫০ শতাংশ থেকে ০ শতাংশ হয়ে গিয়েছিল।

৫ জি ইন্টারনেটের অভিজ্ঞতা মূলত নিজের ঘরে বসে ১ গিগবাইট গতির ইন্টারনেট চালানোর মতই। খুব দ্রুতই সব কিছু ডাউনলোড হচ্ছে এবং ব্রাউজ করা যাচ্ছে। সবচেয়ে ভালো বিষয় হলো ইউটিউব থেকে অনেক উচ্চ রেজুলেশনের ভিডিও কোনো বাফার ছাড়াই দেখা যাচ্ছে। ৫জি কেবল মাত্র মোবাইল ব্যান্ডউইথের উন্নতিতেই ব্যবহৃত হবে না, ক্লাউড কম্পিউটিং, গেমিং এবং লাইভ স্ট্রিমিং কেও আরো অনেক উন্নত করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
share on