অনলাইনে ঈদের জমজমাট কেনাকাটা

মঙ্গলবার, আগস্ট 21 2018 যানজট আর শপিংমলের ভিড় এড়াতে অনেকেই ঈদের কেনাকাটা সেরেছেন অনলাইনে। ঘরে বসেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে ই-কমার্স সাইট, ফেসবুক শপ থেকে নানা পণ্য কিনছেন ক্রেতারা। ঈদ উপলক্ষে এই সুযোগ অনলাইন কেনাকাটাকে আরো জনপ্রিয় করেছে। ক্রেতা আকৃষ্ট করতে অনলাইনে নানা ছাড় ও উপহার ঘোষণা দিয়েছে বিভিন্ন অনলাইন পণ্য বিক্রেতা ও সেবা প্রতিষ্ঠান। অনলাইন পেমেন্টের পাশাপাশি বেশির ভাগ অনলাইন শপই ‘ক্যাশ অন ডেলিভারী’ সার্ভিস দিচ্ছে।

অনলাইনে ঈদের জমজমাট কেনাকাটা


ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইক্যাব) তথ্য অনুযায়ী,বর্তমানে ই-কমার্সে জড়িত প্রায় এক হাজার ওয়েবসাইট আর আট হাজারেও বেশি ফেসবুক পেজ আছে। এখানে প্রতিদিন প্রায় ২০ হাজারের মতো ডেলিভারি হয়,যা প্রতি মাসে দাঁড়ায় আনুমানিক পাঁচ-ছয় লাখের মতো। ই-কমার্স এমন একটি খাত, যেখানে ২৪ ঘণ্টা ব্যবসা হতে পারে। দিন দিন এটা আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

ফেসবুকভিত্তিক একটি অনলাইন শপের স্বত্বাধিকারী জিয়া হাসান বলেন, থ্রি-পিস, শাড়ি, পাঞ্জাবি, শার্ট, প্যান্ট, টি-শার্ট, বাচ্চাদের পোশাক, জুয়েলারি, চশমা, ঘড়ি, প্রসাাধনী, ওয়ালেট, ঘর সাজানোর সামগ্রী, ইলেকট্রনিক্সসহ সব পণ্যই এখন অনলাইনে পাওয়া যায়। এর দরদামও নাগালের মধ্যে। তাই ঈদ সামনে রেখে জমে উঠেছে অনলাইন শপ।

ইক্যাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বাসস’কে বলেন, অন্যবারের তুলনায় অনলাইনে এবার বিক্রি বেশি। এর কারণ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে। সেই সঙ্গে ই-কমার্স সাইটগুলোর সার্ভিসে গ্রাহকের মধ্যে একটা আস্থা তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে ঈদ সামনে রেখে অনলাইন শপগুলো দিয়েছে মূল্যছাড়সহ বিভিন্ন রকমের অফার। সব মিলিয়ে এবারের ঈদ সামনে রেখে অনলাইনে ব্যাপক জমেছে ঈদের কেনাকাটা। তিনি জানান, বর্তমানে দেশে প্রায় ৭শ’ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে তরুন উদ্যোক্তার সংখ্যাই বেশি।

এবারের ঈদে পোশাক ছাড়াও জুয়েলারি, চশমা, ঘডি, প্রসাধনী, ওয়ালেট, ঘর সাজানোর সামগ্রী, ইলেকট্রনিক্সসহ বিভিন্ন পণ্যের চাহিদাও রয়েছে প্রচুর। ই-কমার্স ব্যবসায়ীরা জানান,আগে যা বিক্রি হতো ঈদকে সামনে রেখে তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি অর্ডার আসছে। বর্তমানে অনলাইনে কেনা-কাটার ক্ষেত্রে আমরা অনেক বেশি সাড়া পাচ্ছি। সাধারণ ক্রেতারা এখন অনলাইনে কেনাকাটায় বেশ আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। আসন্ন ঈদ সামনে রেখে তা আরো বেড়েছে।
[ বাসস ]
share on